০৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

বিদেশিদের স্বার্থ নয়, দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে : তারেক

নিউজ আপডেট
নিউজ আপডেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ উসকে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আন্তর্জাতি শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) ঢাকার নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে ‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাক’এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে নয়াপল্টনে শুরু হয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশ। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের কার্যক্রম।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের লম্বা সড়ক সেই ফকিরাপুল থেকে শুরু করে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত হাজারো শ্রমিকের উপস্থিতিতে সমাবেশটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে।

তারেক রহমান বলেন, ‌অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে বিরোধ উসকে দিতে চায়। গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে এ ধরনের বিশ্বাস জন্ম নিতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদের কবলে পতিত হলে গণবিপ্লব কিংবা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেও ফ্যাসিবাদী সরকারের পরিবর্তন হয়। তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
এই ধরনের বিশেষ পরিস্থিতির সরকার অবৈধ নয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতির সরকার কখনই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নয় এবং বিকল্প হতে পারে না। অনির্দিষ্টকালের জন্য একে সমর্থন দেয়া যৌক্তিক নয়।

মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডোর করার বিষয়ে সরকারের যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলে তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণকে, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকে জানায়নি।এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা আসতে হবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমেই।

তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, বিদেশিদের স্বার্থে নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, সবার আগে বাংলাদেশ।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৯:৫০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
৩১

বিদেশিদের স্বার্থ নয়, দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে : তারেক

আপডেট: ০৯:৫০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ উসকে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আন্তর্জাতি শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) ঢাকার নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে ‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাক’এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে নয়াপল্টনে শুরু হয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশ। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের কার্যক্রম।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের লম্বা সড়ক সেই ফকিরাপুল থেকে শুরু করে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত হাজারো শ্রমিকের উপস্থিতিতে সমাবেশটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে।

তারেক রহমান বলেন, ‌অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে বিরোধ উসকে দিতে চায়। গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে এ ধরনের বিশ্বাস জন্ম নিতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদের কবলে পতিত হলে গণবিপ্লব কিংবা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেও ফ্যাসিবাদী সরকারের পরিবর্তন হয়। তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
এই ধরনের বিশেষ পরিস্থিতির সরকার অবৈধ নয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতির সরকার কখনই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নয় এবং বিকল্প হতে পারে না। অনির্দিষ্টকালের জন্য একে সমর্থন দেয়া যৌক্তিক নয়।

মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডোর করার বিষয়ে সরকারের যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলে তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণকে, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকে জানায়নি।এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা আসতে হবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমেই।

তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, বিদেশিদের স্বার্থে নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, সবার আগে বাংলাদেশ।