০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান ওয়াকার

নিউজ আপডেট
নিউজ আপডেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, একটা জিনিস আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করে নাই। এই ঘটনার সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর-এর সদস্য দ্বারা সংগঠিত। ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই।

তিনি বলেছেন, এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, তাহলে এখানে যে বিচারিক কার্যক্রম হয়েছে; ১৬-১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছেন, যারা কনভিক্টেট- সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত ফটো এক্সিবিশনে সেনাপ্রধান বলেন, আজকে একটি বেদনাবিধুর দিবস। আজকের এই দিনে আমার আমাদের ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসার, শুধু তাই নয়; আমাদের কিছু পরিবারের সদস্যদেরও হারিয়েছি। এখানে আসার সময় আমি ছবিগুলো দেখছিলাম। আপনার এই ঘটনার ছবিগুলো দেখেছেন। কিন্তু এগুলো সব আমার নিজ চোখে দেখা। আমি একজন চাক্ষুষ সাক্ষী এ সব বর্বরতার।

সেনাপ্রধান বলেন, যে সব সদস্য শাস্তি পেয়েছে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতা যুক্ত ছিলেন কিনা, বাইরের কোনো শক্তি যুক্ত ছিল কিনা, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। তিনি এসব বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন।

জেনারেল ওয়াকার বলেন, বটম লাইম হচ্ছে আমাদের যে-সব চৌকস সেনাসদস্য প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে, আমরা এই বিষয়টা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছি কেউ কেউ। বিষয়টাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। আমি এটা আপনাদেরকে নিশ্চিত করছি। আমরা নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, যদি কোনো ব্যাত্যয় থেকে থাকে তাহলে সেটা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। এটার জন্য ডানে-বাঁয়ে দৌড়ে কোনো লাভ হবে না।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু সদস্যের দাবি তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত শাস্তি পেয়েছেন, অনেকে বলছেন তারা অযাচিত শাস্তি পেয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি পদক্ষেপ নিচ্ছি।

সেনাপ্রধান বলেন, আমার স্ট্যান্ড পয়েন্ট হচ্ছে, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে সেটা জন্য কোনো ছাড় হবে না, ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিনড থাকতে দেন। এই দেশের সব কিছু ভেঙে পড়লেও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী টিকে আছে কারণ তাদের মধ্যে ডিসিপ্লিন আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৩:২০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১৪৫

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান ওয়াকার

আপডেট: ০৩:২০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, একটা জিনিস আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করে নাই। এই ঘটনার সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর-এর সদস্য দ্বারা সংগঠিত। ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই।

তিনি বলেছেন, এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, তাহলে এখানে যে বিচারিক কার্যক্রম হয়েছে; ১৬-১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছেন, যারা কনভিক্টেট- সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত ফটো এক্সিবিশনে সেনাপ্রধান বলেন, আজকে একটি বেদনাবিধুর দিবস। আজকের এই দিনে আমার আমাদের ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসার, শুধু তাই নয়; আমাদের কিছু পরিবারের সদস্যদেরও হারিয়েছি। এখানে আসার সময় আমি ছবিগুলো দেখছিলাম। আপনার এই ঘটনার ছবিগুলো দেখেছেন। কিন্তু এগুলো সব আমার নিজ চোখে দেখা। আমি একজন চাক্ষুষ সাক্ষী এ সব বর্বরতার।

সেনাপ্রধান বলেন, যে সব সদস্য শাস্তি পেয়েছে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতা যুক্ত ছিলেন কিনা, বাইরের কোনো শক্তি যুক্ত ছিল কিনা, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। তিনি এসব বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন।

জেনারেল ওয়াকার বলেন, বটম লাইম হচ্ছে আমাদের যে-সব চৌকস সেনাসদস্য প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে, আমরা এই বিষয়টা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছি কেউ কেউ। বিষয়টাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। আমি এটা আপনাদেরকে নিশ্চিত করছি। আমরা নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, যদি কোনো ব্যাত্যয় থেকে থাকে তাহলে সেটা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। এটার জন্য ডানে-বাঁয়ে দৌড়ে কোনো লাভ হবে না।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু সদস্যের দাবি তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত শাস্তি পেয়েছেন, অনেকে বলছেন তারা অযাচিত শাস্তি পেয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি পদক্ষেপ নিচ্ছি।

সেনাপ্রধান বলেন, আমার স্ট্যান্ড পয়েন্ট হচ্ছে, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে সেটা জন্য কোনো ছাড় হবে না, ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিনড থাকতে দেন। এই দেশের সব কিছু ভেঙে পড়লেও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী টিকে আছে কারণ তাদের মধ্যে ডিসিপ্লিন আছে।