জনগণের আস্থা ফেরাতে সংস্কার করা হচ্ছে : ড. ইউনূস
নিজস্ব প্রতিবেদক: জনগণের আস্থা ফেরাতে সংস্কার করা হচ্ছে বলে বিশ্বসভায় জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার সকালে বিএফএ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, বিশ্ব দেখছে, বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে জনগণের আস্থা ফেরাতে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে।
ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারের অস্থিরতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কূটনৈতিক টানাপোড়েন এবং বাণিজ্য বাধাগুলো এশিয়ার জন্য আরও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। সুদের হার বৃদ্ধি এবং ঋণ পরিশোধের ব্যয় বেড়ে চলেছে, যা এশিয়ার ঋণ সংকটকে আরও তীব্র করে তুলছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এশিয়াকে অবশ্যই একতাবদ্ধ হয়ে একটি বহুপাক্ষিক মধ্যস্থতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সভ্যতা হুমকির মুখে। জলবায়ুর এই প্রভাব রোখে অনুদানভিত্তিক অর্থায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
চার দিনের সরকারি সফরে বুধবার (২৬ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস তার সফরসঙ্গীদেরসহ সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে হাইনানের কিয়োংহাই বোয়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং হাইনান প্রদেশের ভাইস গভর্নর বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান।
এদিকে, আজ (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কু দোংইউ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে অধ্যাপক ইউনূস এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুনের ।
এরপর ২৯ মার্চ অধ্যাপক ড. ইউনূস পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিকেইউ) বক্তৃতা দেবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে।
তিনি চীনের হাসপাতাল চেইনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন, যাতে তারা যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা অন্বেষণ এবং হাসপাতাল স্থাপনের জন্য উৎসাহিত হয়।
চার দিনের সফর শেষে আগামী ২৯ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।