এখন তরুণদের কাছ থেকে জীবনের পাঠ নিতে হবে: আতিক হেলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের মুক্তিসরণি সাহিত্য সংঘের পঞ্চম লেখকসভায় গান, কবিতা এবং সাহিত্যের উষ্ণ আলাপে বৈশাখের বিকেলজুড়ে রচিত হলো এক সৃজনের উৎসব।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলবাগ আইডিয়াল স্কুলে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠান স্বরচিত কবিতা, ছড়া, গান, গল্প ও গভীর সাহিত্যালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ছড়াকার আতিক হেলাল। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত আতিক হেলাল মুক্তিসরণির কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, এই ধরনের সম্মিলন আমাদের ভেতরের সৃষ্টিশীল সত্তাকে জাগিয়ে তোলে; তরুণদের কণ্ঠে যখন সাহিত্যের বাণী শুনি, তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হতে ইচ্ছে করে। যারা গত ১৭ বছরে ভুলের চোরাবালিতে নিমজ্জিত ছিলো, তাদেরকে এই তরুণদের কাছ থেকে জীবনের পাঠ গ্রহণ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ পাঠক রবিউল মাশরাফী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক, তরুণ কবি নিরব রায়হান।
প্রধান আলোচক ছিলেন কবি ও সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, কবি শিপন হোসেন মানব। তিনি বলেন, সাহিত্যের ভেতরেই জাতির আত্মা লুকিয়ে থাকে। যারা সাহিত্যচর্চা করেন, তারা নিঃসন্দেহে জাতির বিবেক।
সঞ্চালনায় ছিলেন মুক্তিসরণি সাহিত্য সংঘের সভাপতি, লেখক, সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম মামুন। সূচনা বক্তব্য রাখেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক, লেখক ও সাংবাদিক মেহেদী সম্রাট। তিনি বলেন, এই সাহিত্য আড্ডা কেবল একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি এক ধরনের সৃষ্টিশীল প্রতিরোধ— যেখানে আমরা সমাজের অন্যায় ও অন্ধকারের বিরুদ্ধে কলম ধরি।
অনুষ্ঠানে আরো অংশ নেন প্রখ্যাত ছড়াসাহিত্যিক, সিদ্দিকিয়া পাবলিকেশনসের স্বত্বাধিকারী মালেক মাহমুদ, কবি জানে আলম, কণ্ঠশিল্পী পাপড়ি ভট্টাচার্য, ছড়াকার চান মিয়া চান্দু, তরুণ লেখক ও সাংবাদিক হাসান আহমেদ প্রান্ত, নাট্যজন বশির খান, কবি নুর ইসলাম বাদল, কবি ইয়াকুব কামাল, সংগীতশিল্পী সুমনা, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাহিত্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন রোমেছ, কবি ইমরান শাহ।
আড্ডায় আগত কবি-লেখকগণ বলেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং মননের নিরবচ্ছিন্ন চর্চার মধ্য দিয়ে মুক্তিসরণি সাহিত্য সংঘ প্রমাণ করেছে যে— সাহিত্য কেবল বইয়ের পৃষ্ঠা নয়, এটি একটি জীবন্ত অভিজ্ঞতা, একটি চলমান আন্দোলন। এখানে প্রতিটি কলম দীপ্ত, প্রতিটি কণ্ঠ প্রত্যয়ী, আর প্রতিটি হৃদয় সাহিত্যের আলোয় উদ্ভাসিত।