আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ : বিএনপির প্রতিক্রিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক: সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন আগামীকাল সোমবার জারি হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে শনিবার রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুসারে-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে দলটির বিচার হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে বিএনপি আনন্দিত উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেক আগে থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছি। বিলম্ব হলেও অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে আনন্দিত।
রবিবার দলটির সহদপ্তর সম্পাদক অ্যাড. মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিলম্বে হলেও গতরাতে অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুম, খুন, নিপীড়ন, জনগণের বিরুদ্ধে অপশাসন চালানো ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে বিএনপি সঠিক বলে মনে করে।
গুম, খুন, নিপীড়ন, জনগণের বিরুদ্ধে অপশাসন চালানো ফ্যাসিবাদী’ দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে বিএনপি সঠিক বলে মনে করে
মির্জা ফখরুল
বিবৃতিতে বলা হয়, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ও এপ্রিল মাসে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপারাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছিলেন। আইনি প্রক্রিয়াতেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত বলে তারা জানিয়েছিলেন।
এতে বলা হয়, আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। … উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মূহুর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপি।
ফখরুল বলেন, আমাদের দাবি মেনে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেয়ার মত বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে রাখবেন বলে আমরা আশা করি।