০৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হেফাজতের

নিউজ আপডেট
নিউজ আপডেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করবে। এ ছাড়া চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২৩ মে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করবে।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান।
মহাসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো —বর্তমান নারী কমিশন বাদ দিয়ে নতুন করে কমিশন গঠন করে যেখানে আলেম ও ওলামাদের যুক্ত করা, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পুনঃবিশ্বাস স্থাপন ও বহুত্ববাদ বাতিল করা, শাপলা চত্বরের হত্যার বিচার করা, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করে তাদের বিচার করা, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা, চিন্ময় দাসের জামিন বাতিল করা, আওয়ামী লীগের আমলে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলা প্রত্যাহার করা, প্রাইমারি থেকে ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, রাখাইনে করিডোর দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা।

শনিবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে আসেন। এরপর নারী অধিকার সংস্কার বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, শাপলা ট্র্যাজেডিসহ আওয়ামী শাসনামলে সব গণহত্যার বিচারসহ চার দফা দাবিতে সকাল ৯টায় শুরু হয় এই সমাবেশ।

সংগঠনটির আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর সভাপতিত্বে এতে হেফাজতের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করি। আজও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মতো আবারও ইস্পাতকঠিন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি- এনজিও গোষ্ঠীর প্ররোচনায় ইসলামবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অবিলম্বে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে ধর্মীয় অবমাননা শাস্তির আইন বাতিলের সুপারিশ বাতিল করতে হবে। ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

মহাসমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নায়েবে আমির ও বেফাকুল মাদারেসিনের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। তিনি বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন বাতিল পূর্বক আলেমদের সমন্বয়ে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। বহুত্ববাদ শব্দ বাদ দিতে হবে। জুলাই ও শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালে গতি আনতে হবে। অবিলম্বে আওয়ামী খুনিদের বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগে তাদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে ও গণমাধ্যমে সংস্কার করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৩:৫৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
১১১

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হেফাজতের

আপডেট: ০৩:৫৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করবে। এ ছাড়া চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২৩ মে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করবে।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান।
মহাসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো —বর্তমান নারী কমিশন বাদ দিয়ে নতুন করে কমিশন গঠন করে যেখানে আলেম ও ওলামাদের যুক্ত করা, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পুনঃবিশ্বাস স্থাপন ও বহুত্ববাদ বাতিল করা, শাপলা চত্বরের হত্যার বিচার করা, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করে তাদের বিচার করা, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা, চিন্ময় দাসের জামিন বাতিল করা, আওয়ামী লীগের আমলে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলা প্রত্যাহার করা, প্রাইমারি থেকে ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, রাখাইনে করিডোর দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা।

শনিবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে আসেন। এরপর নারী অধিকার সংস্কার বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, শাপলা ট্র্যাজেডিসহ আওয়ামী শাসনামলে সব গণহত্যার বিচারসহ চার দফা দাবিতে সকাল ৯টায় শুরু হয় এই সমাবেশ।

সংগঠনটির আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর সভাপতিত্বে এতে হেফাজতের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করি। আজও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মতো আবারও ইস্পাতকঠিন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি- এনজিও গোষ্ঠীর প্ররোচনায় ইসলামবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অবিলম্বে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে ধর্মীয় অবমাননা শাস্তির আইন বাতিলের সুপারিশ বাতিল করতে হবে। ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

মহাসমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নায়েবে আমির ও বেফাকুল মাদারেসিনের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। তিনি বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন বাতিল পূর্বক আলেমদের সমন্বয়ে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। বহুত্ববাদ শব্দ বাদ দিতে হবে। জুলাই ও শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালে গতি আনতে হবে। অবিলম্বে আওয়ামী খুনিদের বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগে তাদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে ও গণমাধ্যমে সংস্কার করতে হবে।