দারুননাজাত একাডেমিতে বিজ্ঞান মেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: আধুনিক ও বিজ্ঞান শিক্ষা যেন আদর্শিক হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আ. খ. ম আবুবকর সিদ্দীক। দারুননাজাত একাডেমির দ্বিতীয় ইবনে সিনা বিজ্ঞান মেলা, হিফজুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শুক্রবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞানের আজকের উত্থান ও উন্নয়নের পেছনে মৌলিক ভূমিকা পূর্ববর্তী মুসলিম মনীষীদের। বিজ্ঞানকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছানোর গোড়ার কারিগর তারা। কিন্তু বিজ্ঞানে আজ মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য দখল নেই। এ ময়দানে যখন তারা পিছিয়ে পড়ে তখন এর নেতৃত্বে আসে পশ্চিমারা এবং তাদের হাত ধরেই বিজ্ঞানের আজকের এ অবস্থান।
এসময় আরো ববক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার আব্দুল্লাহ যোবায়ের ও দারুননাজাত একাডেমির সিইও নাজমুল ইসলাম।
বিজ্ঞান মেলায় উপস্থাপিত কয়েকটি প্রজেক্ট হলো- অটোনোমাস অবস্ট্যাকল এভোইডেন্স রোবট কার— এমন একটি রোবট গাড়ি যা সেন্সরের সাহায্যে চলতে পারে এবং সামনে বাধা এলে তা এড়িয়ে চলতে পারে। এটি দেখায় কীভাবে যন্ত্র নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারে।
স্মার্ট এসি সার্কিট মডেল—এ প্রজেক্ট দেখায় কীভাবে বৈদ্যুতিক সার্কিট দক্ষতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি আমাদের ঘরোয়া অটোমেশন এবং শক্তি সাশ্রয়ের ধারণা শেখায়।
স্যাটেলাইট যোগাযোগ মডেল—একটি মডেল যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে স্যাটেলাইট আমাদের টেলিভিশন, ইন্টারনেট, নেভিগেশন এবং যোগাযোগে সহায়তা করে সারা পৃথিবীজুড়ে সংযোগ স্থাপন করতে।
হৃদযন্ত্রের কার্যপ্রণালীর মডেল— একটি চলমান মডেল যা দেখায় কীভাবে মানব হৃদয় রক্ত সারা শরীরে পাম্প করে। এটি আমাদের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বোঝাতে সাহায্য করে।
ল্যান্ডস্কেপ গার্ডেনিং মডেল—একটি সৃজনশীল প্রদর্শনী যা দেখায় কীভাবে সৌন্দর্য ও পরিবেশের জন্য বাগান ডিজাইন করা হয়। এটি প্রকৃতি ও টেকসই জীবনের শিক্ষা দেয়।