০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থান : কেউ প্রতারণার আশ্রয় নিলে শাস্তি

নিউজ আপডেট
নিউজ আপডেট

Compressed by jpeg-recompress

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার। অধ্যাদেশে জুলাই ‘শহীদ’ পরিবার এবং আহতদের কল্যাণে নেয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি দেয়া হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী মিথ্যা, বিকৃত ও তথ্য গোপন করে চিকিৎসা, আর্থিক ও পুনর্বাসন সুবিধা দাবি বা গ্রহণ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এরূপ কর্মকাণ্ড করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, কোন ব্যক্তি ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা যে কোন শ্রেণির আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করে তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।

এতে বলা হয়, কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধ করলে অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হবে। এই অধ্যাদেশের অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নং ভি অব ১৮৯৮) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া, অধ্যাদেশে নিহত-আহতদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘গণঅভ্যুত্থানে শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনটি শ্রেণি রয়েছে। তা হলো, অতি গুরুতর আহত, গুরুতর আহত ও আহত।

গত ১৫ জানুয়ারি সরকারি গেজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা প্রকাশ করেছে তা এই অধ্যাদেশের অধীন প্রণীত ও প্রকাশিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১০:০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
১১৩

জুলাই গণঅভ্যুত্থান : কেউ প্রতারণার আশ্রয় নিলে শাস্তি

আপডেট: ১০:০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার। অধ্যাদেশে জুলাই ‘শহীদ’ পরিবার এবং আহতদের কল্যাণে নেয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি দেয়া হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী মিথ্যা, বিকৃত ও তথ্য গোপন করে চিকিৎসা, আর্থিক ও পুনর্বাসন সুবিধা দাবি বা গ্রহণ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এরূপ কর্মকাণ্ড করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, কোন ব্যক্তি ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা যে কোন শ্রেণির আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করে তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।

এতে বলা হয়, কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধ করলে অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হবে। এই অধ্যাদেশের অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নং ভি অব ১৮৯৮) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া, অধ্যাদেশে নিহত-আহতদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘গণঅভ্যুত্থানে শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনটি শ্রেণি রয়েছে। তা হলো, অতি গুরুতর আহত, গুরুতর আহত ও আহত।

গত ১৫ জানুয়ারি সরকারি গেজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা প্রকাশ করেছে তা এই অধ্যাদেশের অধীন প্রণীত ও প্রকাশিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।