০৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপির কাছে দেশ ও জনগণই প্রধান অগ্রাধিকার: তারেক

নিউজ আপডেট
নিউজ আপডেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে দেশকে পুনর্গঠন করা হবে। বিএনপি কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, দলের কেউ অপরাধ করলে তার বিচার করে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এটিই বড় পার্থক্য।

শনিবার যশোরে জেলা বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বেলা ১১টায় জেলার ঈদগাহ ময়দানে এ সম্মেলন শুরু হয়।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হলো একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়া। আমরা প্রত্যাশা করি, যত দ্রুত সম্ভব তারা সেটা করবেন। এখন প্রধান কাজ হলো দল পুনর্গঠন করা, শক্তিশালী করা। ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেয়া।

তারেক রহমান বলেন, এখন আমরা সংস্কার প্রস্তাবের নামে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্ন কথা বলতে শুনছি। অবশ্যই যে যার মত প্রকাশ করতে পারেন। এখন ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা শুনছি। অনেকে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের কথা বলছেন। এগুলো হয়তো প্রয়োজন। কিন্তু যখন স্বৈরাচারী শাসক দীর্ঘসময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতা জোর করে দখল করে ছিল তখন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিএনপি ৩১ দফা প্রস্তাব এনেছে। তখন কিন্তু এসব সুন্দর সুন্দর কথা আমরা শুনিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা। এই সম্মেলনে আগত প্রায় সব কাউন্সিলের নামে বহু মিথ্যা মামলা রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিএনপি ও আরও কিছু গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে লড়াই চালিয়ে গেছে। অসংখ্য নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতো, স্বৈরাচারের পতন হবে, তারা বিতাড়িত হবে।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপির কাছে দেশ ও জনগণই প্রধান অগ্রাধিকার। বিএনপি যতবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। জনগণের সমর্থন নিয়ে আবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে উৎপাদন বাড়ানো, শিক্ষাব্যবস্থাকে দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলা, নারীদের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে মনোযোগ দেবে যাতে চিকিৎসার জন্য মানুষকে বিদেশে যেতে না হয়।

তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন করে না- বিএনপি এমন কাজ না করার নীতিতে চলে। তা সত্ত্বেও লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর মধ্যে কিছু লোক হয়তো এমন কিছু কাজ করছে, যা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। বিএনপিই একমাত্র দল, যারা এই অন্যায়কারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। যে কাজ সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।

বেলা ২টায় যশোর ইনস্টিটিউটের আলমগীর সিদ্দিকী হলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৩:০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৬৯

বিএনপির কাছে দেশ ও জনগণই প্রধান অগ্রাধিকার: তারেক

আপডেট: ০৩:০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে দেশকে পুনর্গঠন করা হবে। বিএনপি কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, দলের কেউ অপরাধ করলে তার বিচার করে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এটিই বড় পার্থক্য।

শনিবার যশোরে জেলা বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বেলা ১১টায় জেলার ঈদগাহ ময়দানে এ সম্মেলন শুরু হয়।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হলো একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়া। আমরা প্রত্যাশা করি, যত দ্রুত সম্ভব তারা সেটা করবেন। এখন প্রধান কাজ হলো দল পুনর্গঠন করা, শক্তিশালী করা। ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেয়া।

তারেক রহমান বলেন, এখন আমরা সংস্কার প্রস্তাবের নামে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্ন কথা বলতে শুনছি। অবশ্যই যে যার মত প্রকাশ করতে পারেন। এখন ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা শুনছি। অনেকে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের কথা বলছেন। এগুলো হয়তো প্রয়োজন। কিন্তু যখন স্বৈরাচারী শাসক দীর্ঘসময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতা জোর করে দখল করে ছিল তখন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিএনপি ৩১ দফা প্রস্তাব এনেছে। তখন কিন্তু এসব সুন্দর সুন্দর কথা আমরা শুনিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা। এই সম্মেলনে আগত প্রায় সব কাউন্সিলের নামে বহু মিথ্যা মামলা রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিএনপি ও আরও কিছু গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে লড়াই চালিয়ে গেছে। অসংখ্য নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতো, স্বৈরাচারের পতন হবে, তারা বিতাড়িত হবে।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপির কাছে দেশ ও জনগণই প্রধান অগ্রাধিকার। বিএনপি যতবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। জনগণের সমর্থন নিয়ে আবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে উৎপাদন বাড়ানো, শিক্ষাব্যবস্থাকে দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলা, নারীদের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে মনোযোগ দেবে যাতে চিকিৎসার জন্য মানুষকে বিদেশে যেতে না হয়।

তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন করে না- বিএনপি এমন কাজ না করার নীতিতে চলে। তা সত্ত্বেও লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর মধ্যে কিছু লোক হয়তো এমন কিছু কাজ করছে, যা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। বিএনপিই একমাত্র দল, যারা এই অন্যায়কারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। যে কাজ সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।

বেলা ২টায় যশোর ইনস্টিটিউটের আলমগীর সিদ্দিকী হলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ শুরু হয়।